সালাহউদ্দিন আহমেদের খালাসের খবর সঠিক নয় : স্ত্রী হাসিনা আহমেদ

ডেস্ক রিপোর্ট •

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ের আদালতে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদের খালাসের খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়লে সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নিম্ন আদালত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান তিনি।

কিন্তু ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এখন পর্যন্ত আপিল শুনানি শুরুই করেনি আদালত। সুতরাং খালাস পাওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৩২ মিনিটে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন শ্যামলের নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে খালাসের গুজব ছড়ানো হয়।

এতে তিনি লিখেন, সালাহউদ্দিন আহমদ ভারতের শিলংয়ে মামলায় গত ২৬ অক্টোবর রায়ে খালাস পেয়েছেন। আদালত প্রিয় নেতাকে দ্রুত দেশে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতো করে আরো অনেক নেতাকর্মী একই স্ট্যাটাস দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার যদি বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের মামলা পরিচালনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেন তখনই আপিল শুনানি শুরু করবে আদালত।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরের দিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।